রাজধানীতে সিএনজি চালিত অটোরকিশার ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য ঠেকানো যাচ্ছেনা। মিটারে সিএনজি চলাচলের নিয়ম থাকলেও কোনো চালকই মিটারে চলতে চান না। মৌখকি চুক্তিতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে বিআরটিএ এবং ট্রাফিক পুলিশ।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, মিটারে অনিয়মের বিষয়ে বিআরটিএ দেখবে। পুলিশ শুধু সড়কের শৃঙ্খলা দেখবে। তবে বিআরটিএ বলছে, মিটারের বিষয়টি ট্রাফিক পুলিশের দেখার কথা। আর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযোগের সুরাহা করে থাকে।
সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, সিএনজিতে প্রথম দুই কিলোমিটার পথ অতিক্রমের জন্য ৩৫ টাকা নির্ধারিত করে দেওয়া রয়েছে। এছাড়া প্রথম দুই কিলোমিটারের পর থেকে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১২ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।
চালকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত জমা টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন সিএনজির মালিকরা। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের বাজারও চড়া। জীবনযাপন ব্যয় অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে মৌখিক চুক্তিতে যান তারা।
প্রতি লিটার গ্যাস ৪৫ টাকা। গ্যাসের চাপ বুঝে একবারে গ্যাস নেওয়া যায় ৫-৬ লিটার। যার মূল্য ২৪৫-২৭০ টাকা। ৪৫ টাকার গ্যাসে ফাঁকা রাস্তায় ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে এবং যানজট থাকলে ৬-৭ কিলোমিটার যাওয়া যায়।
এদিকে ২০১৭ সালে যখন মিটারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল, সে সময় মালিককে দিতে হতো ৭০০ টাকা। এখন দিতে হয় ১২০০ টাকা। আগে গ্যাসের লিটার ছিল ১২ টাকা আর এখন ৪৫ টাকা। যাত্রীরা বলছেন, মিটারে যেতে পারলে বাল হতো। টাকাও র্বাঁচতো। কিন্তু সমযের তাড়ার কারণে মৌখিক চুক্তিতে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।