মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে চলছে সমরাস্ত্র প্রদর্শনী। সাত দিনের সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বিভিন্ন ধরনের সমরাস্ত্র জনসাধারণের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। সবার জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলছে।
প্রদর্শনীর বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। তাতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিরা প্রদর্শনীতে নিজেদের বাহিনীর স্টল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এবারের প্রদর্শনীতে মোট ৪৫ স্টলের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৩৩টি, নৌবাহিনীর ৪টি, বিমানবাহিনীর ৪টি ও সশস্ত্র বাহিনীর ৪টি স্টল রয়েছে।
ফিল্ড আর্টিলারি স্টলে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন সংযোজন ‘টাইগার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম’ প্রদর্শিত হচ্ছে। তুরস্কের এই যুদ্ধাস্ত্র ১২০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পদাতিক ব্রিগেডের স্টলে সম্মুখসমরে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র সাজানো রয়েছে। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের স্টলে বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। মাটির নিচে স্থাপন করা হয়েছে কমান্ড পোস্ট।
বিমানবাহিনীর স্টলগুলোতে মিসাইল, লেজার গাইডেড বোমা, রকেট পডের মতো অস্ত্র দেখার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বা আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার রেপ্লিকা প্রদর্শিত আছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা বঙ্গবন্ধু’র আদলে বানানো হয়েছে নৌবাহিনীর স্টল। সামনের কৃত্রিম লেকে মাথা তুলে আছে বাংলাদেশের সাবমেরিনের রেপ্লিকা। স্টলে আছে পানির নিচে ও ওপরে ব্যবহৃত নৌবাহিনীর বিভিন্ন সামগ্রী, টর্পেডো, নেভাল কামান ও মিসাইলের মডেল। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পেরও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে নৌবাহিনীর স্টলে।
প্রদর্শনীর বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু হায়দার মোহাম্মদ রাসেলুজ্জামান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস, দেশ ও জাতি গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম, বাহিনীর আধুনিকায়ন, বাহিনীর ব্যবহৃত সমরাস্ত্র সম্পর্কে জনসাধারণকে ধারণা দেওয়া এবং এই পেশার প্রতি তরুণদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশে এ প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাসিবুল হাসান, নৌবাহিনীর কমান্ডার আবুল হাসনাত মোদাচ্ছের আহমেদ, বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার মো. এহতেশামুল হক ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের কমান্ডার আনোয়ার হোসেন স্টলগুলোর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।